অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জামুকা বাতিলসহ সাত দফা পূরণে কর্মসূচি ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কর্তৃক জামুকা ঘেরাও কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব হতে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পুরানা পল্টন হয়ে কাকরাইল স্কাউট ভবন জামুকা কার্যালয় সম্মুখে গিয়ে শেষ হয়। কর্তব্যরত পুলিশ বাধা দিলে নেতাকর্মীরা বেরিগেট ভেঙ্গে স্কাউট ভবন চত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, নেতাকর্মী, বন্ধুদের নিয়ে অবস্থান নেয় এবং বক্তব্য প্রদান করেন। সংগঠনের সভাপতি মেহেদী হাসান বক্তব্যের শুরুতে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে জামুকা বাতিল এর দাবি করেন এবং জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অ-মুক্তিযোদ্ধারা ও রাজাকারদের বানানোর জাল মুক্তিযোদ্ধার কারখানা জামুকা বাতিলের দাবি করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মাসুম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতার সাংস্কৃতিক মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম খলিল সবুজ, ফরিদপুর জেলার যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মুহিউদ্দিন, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কামান কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক খায়রুল ইসলাম মামুন, রক্ত ধারায় ৭১ এর সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা যুবক কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাফরানের ইকবাল নান্টু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কামান ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ন আহবায়ক কাজী মোশারফ হোসেন মিলনসহ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কামান কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ তাইফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক আসলাম সিকদার নয়ন, বিজ্ঞান ও গবেষনা সম্পাদক মোহাম্মদ আহসান হাবীব, দূর্যোগ ও ত্রান বিষয়ক সম্পাদক কামরুল হাসান চৌধুরী বিপু, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক মেজর (অবঃ) কাজী মৌসুমী, উপ তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক শেখ হীরা আল আমিন, উপ-শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক মারুফ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য আমাতুন নুর শিল্পীসহ, মহানগর, জেলা নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠনের ও পেশার নেতা ও কর্মীবৃন্দ।
৭ দফা যথাক্রমে
<> অ-মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীরতাবিরোধীদের মুক্তিযোদ্ধা বানানো জাল মুক্তিযোদ্ধা কারখানা জামুকার কার্যক্রম অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
<>বঙ্গবন্ধু সরকার আমলে প্রণীত মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞা মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিতে হবে।
<>বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি ও বেইজ্জতিকারী জামুকার দুর্নিতিবাজ কর্মকর্তা – কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন এবং তাদের সকল দুর্নিতির বিচার দুর্নিতি দমন কমিশনের মাধ্যমে করতে হবে।
<> বিশেষ কমিশন গঠনের মাধ্যমে দেশব্যাপী মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিসমূহের অনৈতিক কার্যক্রমের বিচার এবং সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই প্রকাশ্য জনসম্মুখে সম্পন্ন করতে হবে।
<> জামুকা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যবধি জামুকা কমিটিতে মনোনীত জাল/নকল মুক্তিযোদ্ধা ও অ-মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের সকল কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
<> অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে এবং যাচাই-বাছাইয়ে যেসকল মুক্তিযোদ্ধাদের অনৈতিক কার্য্যক্রমে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
<> নিবন্ধিত সংগঠন ও তাদের গঠনতন্ত্রে অনুমোদীত অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ব্যতীত অনিবন্ধিত সংগঠনসমূহের সকল কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করে অনতিবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
দাবি আদায়ে নিম্নলিখিত কর্মসূচি ঘোষণা করেন
<>৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষাধিক মা-বোনোর সম্ভ্রম ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে অর্জিত বাংলাদেশ সুরক্ষায় দেশব্যাপী ” বাংলাদেশ সুরক্ষা আন্দোলন ” শিরোনামে গণ সমাবেশ করা হবে।
<> দেশব্যাপী সকল নকল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন ও তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।
<> যে সকল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আবেদন করতে পারে নাই তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
<> যাচাই-বাছাইয়ের নামে অনৈতিকভাবে যেসকল প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করা হবে।
<> সরকারী, আধা-সরকারী, বেসরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত জাল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের তালিকা প্রণয়ন পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনী আশ্রয় নেওয়া হবে।
Leave a Reply